বিশেষ জরুরী পরামর্শ: (মাদ্রাসা দুই বেলা/এক বেলা প্রসঙ্গে)
নূরানী পদ্ধতির প্রবর্তক পীরে কামেল জনাব হযরত মাও. ক্বারী বেলায়েত হুসাইন সাহেব (রহ.) ও নূরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ এর মুরুব্বীগণ যুগ যুগ ধরে গবেষণার মাধ্যমে নূরানী পদ্ধতি ও মুসলমানদের কচি-কাঁচা সন্তানদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস এবং নীতিমালা প্রণয়ন করছেন। হযরতজ্বীর অভিজ্ঞতা ও গবেষণার আলোকে নূরানীর ক্লাস টাইম দুইবেলা করছেন। কিন্তু আজকাল আমরা বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেন বা মুষ্টিমেয় দু’একটি মাদ্রাসার দিকে দেখে এক বেলা করার আগ্রহ ও পরামর্শ দিয়ে থাকি, যাহা ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্য অত্যান্ত কষ্টকর ও ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমাদের উপলব্ধি করতে হবে, একটা ছোট কচি সন্তান একাধারে কত ঘন্টা তার মস্তিষ্কে ধারণ ক্ষমতা থাকতে পারে এবং তার সিলেবাস কতটুকু পরিমাণ। মনে রাখতে হবে, কিন্ডার গার্টেন বা স্কুল এর ন্যায় নূরানীতে বাংলা, গণিত, ইংরেজী, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়াদী ছাড়াও পাশাপাশি আরো অনেক বিষয় রয়েছে। যেমন: কালিমা, মাসায়িল, হাদীস, মাখরাজ, তাজবীদ (আরবী গ্রামার), কুরআন, আরবী লেখা, ফাযায়েলের সূরা মুখস্ত, আসমাউল হুসনা, আকায়েদ ইত্যাদি। এতো বিশাল সিলেবাস এক নাগাড়ে বিরতিহীন ভাবে পাঠদান দেওয়া-নেওয়া উভয়ের মস্তিষ্ক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
অতএব, দুই বেলার মধ্যে লেখা-পড়ার মানোন্নয়ণ, পরিবেশের জন্য যথেষ্ট ফায়দা ও মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে, রৌদ্র তাপ থেকেও নিরাপদ থাকে। সুতরাং লেখা-পড়ার মানোন্নয়ন এবং আপনার সন্তানের শারীরিক সুস্থতা উভয় দিকে লক্ষ্য রাখা এবং লেখা-পড়ার সাফল্য ও সার্থক কামনা করা প্রত্যেক সচেতন অভিভাবকের দায়িত্ব। অনেক অভিভাবক বলে থাকেন, মাদ্রাসা দুরে হওয়াতে দুপুরে বাড়িতে আসা ও পূণরায় মাদ্রাসা যাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে। বোর্ডের পক্ষ থেকে উক্ত অভিযোগ কারীগণদের প্রতি পরামর্শ হল আপনাদের সন্তানকে সকালে মাদ্রাসায় পাঠানোর সময় দুপুরের খানা একটি টিফিন বাটি করে পাঠিয়ে দিবেন। তারা দুপুরের খানা মাদ্রাসায় খেয়ে এক দেড় ঘন্টা বিশ্রাম নিতে পারবে, এটা তাদের শরীরের জন্য খুব ভাল হবে। তাই প্রত্যেক মাদ্রাসার ক্লাসের সময় দুই বেলা করার অনুরোধ থাকল।